শ্যামনগরে কেন্দ্রীয় মাদ্রাসায় উপাধ্যক্ষ পদ নিয়ে এ কী কান্ড!
ন্যাশনাল ডেস্ক: সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম কামিল (এম এ) মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ পদ নিয়ে এ কী কান্ড? প্রশাসনিক নির্দেশ বার বার উপেক্ষিত!
সুত্রে প্রকাশ, উপাধ্যক্ষ পদে বিধি মোতাবেক মোস্তফা শাহজাহান সিরাজকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সমন্বিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। এ নির্দেশ অমান্য করায় এবং সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আই.সি.টি) সভাপতি শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম কামিল (এম এ) মাদ্রাসা কর্তৃক ১০ কার্য দিবসের মধ্যে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ উপেক্ষা করে সমন্বিত না করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ এ,এ এম ওজায়েরুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে। যদিও তার এহেন কর্মকাণ্ডে অধ্যক্ষ এ,এ এম ওজায়েরুল ইসলামের বেতন সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধ্যক্ষ এ,এ এম ওজায়েরুল ইসলাম সময় ক্ষেপণ করে উপাধ্যক্ষ পদে বিধি মোতাবেক মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন না করায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ। যা বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।
মোস্তাফা শাহজাহান সিরাজ লিখিত অভিযোগে জানান, তিনি সহকারি সুপার হতে উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত একজন শিক্ষক। শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম কামিল (এম এ) মাদ্রাসায় বিগত প্রায় ৬ (ছয়) বছর যাবৎ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জারিকৃত পর পর তিনটি পরিপত্রে তাকে সহকারি সুপার পদ হতে উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত করার নির্দেশ থাকলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর অধ্যক্ষ ওজায়েরুল ইসলাম তাকে উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বিত করেন নি। বিষয়টি বিগত ইং ১৭/১১/২০২৪ তারিখে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে ইং ২৮/১১/২০২৪ তারিখে ডিজি মহাদয়ের অফিসে শুনানীতে অংশগ্রহনের নির্দেশ দেন। অতঃপর শুনানী অন্তে স্বপক্ষে উপাধ্যক্ষ পদে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় এবং অধ্যক্ষকে ইং ০৪/১২/২০২৪ তারিখের মধ্যে পদ সমন্বয় পূর্বক স্কেল সংশোধনীর নির্দেশ দেন। অধ্যক্ষ এ আদেশ বাস্তবায়ন না করায় এবং তাকে আরবী প্রভাষক পদে নামিয়ে দেওয়ার আবেদন করায় অধ্যক্ষের বেতন ভাতা বন্ধের পরিপত্র দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আই.সি.টি) আবেদন করলে তিনি অধ্যক্ষ সাহেবকে বিগত ইং ০৬/০১/২০২৫ তারিখে ১০(দশ) কার্যদিবসের মধ্যে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ পত্র দেন।অধ্যক্ষ তাতেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তোয়াক্কা করেননি। একদিকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াত করে আরবী প্রভাষক নিয়োগের এবং দুর্নীতি করে বিপুল পরিমানে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। পদ সমন্বয়ের বিষয়ে না তোয়াক্কা ভাব প্রদর্শন করছেন ও সরকারি বিধান ও নির্দেশের বিপরীতে গায়ের জোরে তাকে পদ সমন্বয় থেকে বঞ্চিত করে চলেছেন। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ওজায়েরুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে অনেক জানার ও ভাবার বিষয় রয়েছে। মোস্তফা শাহজাহান সিরাজ আর্থিক ও মানষিক কষ্ট থেকে উত্তোরনে সরকারি বিধি মোতাবেক তার পদ বা স্কেল পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
What's Your Reaction?