আশাশুনিতে আইনশৃংখলা বিষয়ে সচেতনতায় পুলিশের বিশেষ মহড়া
বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আইন শৃংখলা রক্ষা ও সাধারণ নাগরিকদের পাশে থাকার প্রত্যয় নিয়ে আশাশুনি থানা পুলিশ বিশেষ মহড়া প্রদর্শন করেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ মহড়া প্রদর্শন করা হয়। আশাশুনি থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম জিপ ও মোটর সাইকেল যোগে আশাশুনি, বুধহাটা ও কুল্যা ইউনিয়নেরর বিভিন্ন সড়কে মহড়া দেয়। এসময় সচেতনতা মূলক প্রচার চালান হয়। এছাড়া বিশেষ বিশেষ বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থেমে জন সাধারণের সাথে মতবিনিময় এবং দিক নির্দেশনা মূলক পরামর্শ প্রদান করা হয়। ওসি নোমান হোসেন বলেন, ডিআইজি ও এসপি স্যারের নির্দেশনা ও পরামর্শ মত আমরা থানার সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষা মাঠে আছি। জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সকলের সহযোগিতা নিয়ে জানমালের নিরাপত্তার পাশাপাশি অপরাধ দমনে কাজ করতে চাই। মদ, জুয়া, অসামাজিক কর্মকান্ড জিরো টলারেন্স দেখতে চাই। বেকার ও যু্ব সমাজকে বিকালে অপরাধের ধারে কাছে ঘেষতে না দিয়ে খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্যে আনতে হবে। সন্ধ্যার সাথে সাথে বাড়িতে নিয়ে পড়ালেখা ও বাড়ির কাজে ব্যস্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।#
আশাশুনির বেউলা ঢালীপাড়া জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা ঢালী পাড়া জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল প্রতিনিধি হাফেজ মোহাদ্দিছ রবিউল বাশার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। তিন তলা ফাউন্ডেশনের মসজিদ বিল্ডিং ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনকালে অন্যদের মধ্যে আলোচনা রাখেন, ঝাউডাঙ্গা মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওঃ আব্দুল বারী। মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওঃ আক্তার ফারুক, ইউপি সদস্য শীষ মোহাম্মদ জেরী, বুধহাটা ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডডেশনের সেক্রেটারী আমজাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসার সুপার ড. মোঃ আবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মরহুম মাওঃ ওছমান গণির সন্তানেরাসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি রবিউল বাশার অন্য অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। বর্তমানে মসজিদের দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজ করা হবে বলে জানা গেছে।#
আশাশুনি শ্রীকলস ওয়ার্ড জামায়াতের সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনি সদর ইউনিয়নের শ্রীকলস ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীকলসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ড সভাপতি প্রাক্তন মেম্বার আব্দুল রহিম গাজীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী হাফেজ আব্দুল করিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এ বি এম আলমগীর পিন্টু, সদর ইউনিয়ন আমীর হাফেজ আব্দুল্লাহ, টিম সদস্য আব্দুল আজিজ, মোবারক আলী, মাওঃ আব্দুর রশিদ, মাওঃ শফিকুল ইসলাম, হাফেজ আছাদুল ইসলাম, ওয়ার্ড সহ-সভাপতি গাওছুল হোসেন, হারুন অর-রশীদ। শ্রমিক নেতা হযরত আলী, বাইতুলমাল সম্পাদক ইয়াছিনুর রহমান, শ্রমিক সম্পাদক রুহুল আমিন, কবিরুল ইসলাম, ছাত্রনেতা আল আমিন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#
আশাশুনিতে ঠান্ডা ও কুয়াশায় কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব, বাড়ছে কৃষকের দুশ্চিন্তা
দেশে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে চলেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় আশাশুনির কৃষিখাতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ক্ষেতের অবস্থা দেখে ও শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় কৃষকদের দুশ্চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে। কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢেকে যাচ্ছে। কখনো কখনো হিমেল বাতাসের সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মত কুয়াশা। দেখা মিলছে না রোদের। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে ওঠার সাথে সাথে ঠান্ডা ও কুয়াশা কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। শীতকালীন সবজি আলু, পেঁয়াজ, টমেটো ক্ষেত নিয়ে কৃষকদের মাঝে দুঃচিন্তা ও উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। শীতকালীন সবজি ক্ষেত নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন। আবার অনেক স্থানে আগাম জাতের আমের মুকুলও ঝরে যাচ্ছে। কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলা নিয়েও চিন্তাগ্রস্থ কৃষকরা। তীব্র শীতে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে বোরোর বীজতলা। চারার গোঁড়া বা পাতা পচা রোগ এবং হলুদ বর্ণ ধারণ করে বীজতলা দুর্বল হয়ে পড়ছে। তাছাড়া সূর্যের আলো ঠিকমতো পাচ্ছেনা বীজতলা। আবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা। বৃষ্টি হলে ছত্রাক-বাহী ব্লাষ্ট রোগের সংক্রমণ হতে পারে। এতে করে আলু ও টমেটোর অনেক ক্ষতি হবে। কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, শীত ও ঘন-কুয়াশার কারনে আলু ক্ষেতের বাড়তি পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। আলু ক্ষেতে বালাইনাশক স্প্রে করছেন কৃষকরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া এবং তাপমাত্রায় ঘন ঘন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। কখনো তীব্র শীত, কখনো ঘন কুয়াশা আবার কখনো শৈত্যপ্রবাহও দেখা দিচ্ছে। এতে শিম, লাউ, করলা, মিষ্টি কুমড়া, আলু, শাকসবজিসহ বিভিন্ন কৃষি খেত নষ্ট হচ্ছে। ফসলের পরাগায়ন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ফসলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং ফলন হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শীত ও কুয়াশা থেকে রক্ষা পেতে অনেক কৃষক বিকেল থেকেই বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছেন। কোথাও কোথাও বীজতলার চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। বৈরী আবহাওয়া ও কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রাকৃতিকভাবেই বীজতলার ক্ষতি হবে। চারার বৃদ্ধিতে নিম্ন তাপমাত্রার প্রভাব কমাতে ঘন-কুয়াশা ও বেশি শীতের কারনে বোরো ধানের বীজতলা সকাল দশটা থেকে সাদা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে সন্ধ্যার আগে তা সরিয়ে ফেলান হচ্ছে। আবার সন্ধ্যায় পানি সেচ দিয়ে বীজতলার চারা ডুবিয়ে দিয়ে এবং সকালে সেই পানি বের করে দিচ্ছে। এবং সকালে দড়ি টেনে দিয়ে বীজতলার চারায় জমাকৃত শিশির ঝরিয়ে দিচ্ছে। এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে ধানের বীজতলা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে কৃষকরা। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম জানান, জেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ্ব মত আমরা কৃষকদেরকে ঠান্ডার ক্ষতি হতে বীজতলা রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে বলা হচ্ছে। পরিথিনের ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং রোগ দেখা দিলে ছত্রাক নাশক ব্যবহারের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
What's Your Reaction?