আশাশুনি প্রেস ক্লাবে নবাগত ওসির মতবিনিময়
বিএম আলাউদ্দীন, আশাশুনি (সাতক্ষীরা): আশাশুনি থানায় নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নোমান হোসেন আশাশুনি প্রেস ক্লাবে মতবিনিময় সভা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ক্লাবের সভাপতি জি এম আল ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস কে হাসানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, নবাগত ওসি নোমান হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওসি বলেন, সমাজ তথা দেশের মানুষকে সঠিক পথে আইন মেনে চলাচলের স্বার্থে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। আমি পুলিশ হিসাবে দায়িত্ব পালন করবো, আপনারা সাংবাদিক-সমাজের সচেতন মানুষ হিসাবে একই দায়িত্ব পালন করা উচিৎ। ছাত্র-যুবক সকলকে স্বস্ব কাজের সাথে সময় দিতে হবে। অবসর সময়ে বৈধ ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, পাঠাগারে সময় ব্যয় করতে হবে। এজন্য আমি উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ক্রীড়া ক্লাব, সাংস্কৃতিক ক্লাব, পাঠাগার গড়তে চাই। শ্রমিক-হত দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের পাঠাগার থেকে বই নিয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হবে। অন্যদেরকেও পাঠাগারের বই পড়তে অভ্যস্থ করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে আগে মানুষকে ভালবাসতে হবে, মানুষের কাছে যেতে হবে। হতদরিদ্রদের বুকে টেনে সহযোগিতা করতে হবে। আমরা ভাল ও উন্নত আচরনের অধিকারী হলে সকলকে সুন্দর আলোয় আলোকিত করে তুলতে পারব। তিনি প্রেস ক্লাবের সদস্যদেরকে ভাল কাজের সহযোগিতার প্রত্যাশা করে বলেন, আমি এখানে মেহমান, এখানে শিক্ষা, জ্ঞান বিস্তার, ক্রীড়া, সাংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করতে চাই। আসুন সবাই যুব সমাজ তথা মানুষকে ভাল কাজের দিকে নিয়ে আসার চর্চা করি। সাংবাদিকরা তাদের সাথে থাকবেন সে প্রত্যাশা করে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমানসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#
আশাশুনি ইউএনও কৃষ্ণা রায়ের সাথে চাপড়া ভাঙ্গনকুল মানুষের সাক্ষাত
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সাথে উপজেলার মধ্যম চাপড়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষ সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ভুক্তভোগি নারী-পুরুষ-বৃদ্ধরা উপস্থিত ছিলেন। নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্থরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান, নদী ভাঙ্গনে গত ৪০ বছরে গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হাই স্কুলটি তিন-তিনবার স্থানান্তর করতে হয়েছে। ভিটেবাড়ী হারা মানুষের অনেকে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছে। গত বছর ঠিকাদার খনন কাজ অর্ধ কিঃ মিঃ বাকী রেখে ও ভেড়ী বাঁধ নির্মান কাজ বন্ধ রেখে মাঝ নদীতে প্রতিবন্ধক ভেড়ীবাঁধ কেটে দিয়ে চলে যায়। ফলে তীরবর্তী বসবাসকারী পরিবার ও ওয়াপদা সংলগ্ন জনপদ হুমকীর মুখে পড়েছে। এসময় ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে খায়রুল ইসলাম বাপ্পী, আঃ খালেক, মইনুর ইসলাম, ইমাদুল, আল মামুন, জয়নাল আবেদীন, শফিকুল, ডালিম, খাদিজা, রোমেনা, শিরিনা, এছমা, মাজিদা, মর্জিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।#
আশাশুনির শীতলপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের তদন্ত
আশাশুনি সদরের শীতলপুর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর বরাদ্দকৃত ঘরে বসবাসকারীদের ও বরাদ্দ প্রাপ্তদের নিয়ে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলা ভূমি অফিসে এ শুনানী গ্রহণ করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন তদন্ত ও শুনানী গ্রহণ করেন। শুনানীকালে জানাযায়, প্রকল্পে বরাদ্দ প্রাপ্তদের মধ্যে ৩ জন ঋষি সম্প্রদায়ের পরিবার প্রকল্পে থাকতে আগ্রহী না। তাদেরকে ঘরে না থাকার বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানোর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। ৬ জন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি মাঝে মধ্যে ঘরে থাকে। আবার মাঝে মধ্যে কাজে বাইরে থাকে। সিদ্ধান্ত হয়, বরাদ্দ প্রাপ্ত ঘরে থাকতে হবে, কাজে গেলে ঘর দেখে রাখার জন্য ন্যুনতম কাউকে থাকতে হবে। কেউ থাকতে না চাইলে লিখিত ভাবে জানিয়ে স্বেচ্ছায় চলে যেতে বলা হয়। চলে না গেলে অবৈধ দখল রাখতে চাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত জানান হয়।
What's Your Reaction?