বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে সৈয়দপুরে ফল ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

Jan 30, 2025 - 12:46
 0  4
বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে সৈয়দপুরে ফল ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

মিজানুর রহমান মিলন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : আমদানি করা ফলমূলকে বিলাসি পন্য হিসেবে গণ্য করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ফলমূলের ওপর ১৩৬ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সৈয়দপুরের পাইকারি ও খুচরা ফল ব্যবসায়ী সমিতি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শহরের পাঁচমাথা মোড়ে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস্ ইম্পোর্টার্স এসোসিয়েশনের ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তারা আগামি ৩ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবি জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি। অন্যথায় ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের সকল স্থল ও নদী বন্দর হতে আমদানি করা তাজা ফল খালাস বন্ধ থাকবে বলে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। 

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস্ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সৈয়দপুর পাইকারি ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিক্রমপুর ফল ভান্ডারের মালিক মো. শাহ আলম। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সৈয়দপুর পাইকারি ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের মালিক আলহাজ্ব বাদশা মিয়া, ব্যবসায়ী জানে আলম, জিকরুল হোসেন জয় প্রমুখ। বক্তারা তাজা ফলমূলকে বিলাসি পণ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক ১৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাজা ফলমূলকে পৃথিবীর কোন দেশে বিলাসি পণ্য হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়না। অথচ আমাদের দেশে হয়েছে উল্টো। তারা বলেন, তাজা ফলমূল অন্যান্য খাদ্যের মতই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর। এসব ফল রোগীদের জন্য যেমন উপকারি তেমনি পুষ্টি থাকায় আমাদের দেশে চাহিদা অনেক বেশি। কিন্তু ৬০/৬৫ ভাগ ফল বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে জানিয়ে বক্তারা বলেন, এ ব্যবসার সাথে সাথে সারাদেশে ৩০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। ফল আমদানির মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি করা ফলমূলের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করায় ব্যবসা আমাদের ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ফলে এর সাথে জড়িত লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। তারা বলেন, ফলের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার না হলে ফলের মূল্য মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে অনেকের মুখে কোন ফলই যাবেনা। আসন্ন রমজান মাসে এ অবস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশংকা তাদের। বক্তারা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমদানি করা ফলমূলের ওপর বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সকল স্থল ও নদী বন্দর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফলমূল খালাস বন্ধ থাকবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।

মানববন্ধনে সৈয়দপুর ও আশেপাশের দুই শতাধিক ফল ব্যবসায়ী অংশ নেন। উল্লেখ্য এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২১-২২ অর্থবছরে সম্পূরক শুল্ক ছিল ৮৯.৩২ শতাংশ। ২২-২৩ অর্থবছরে তা হয়েছিল ১১৩.৮০ শতাংশ, ২৪-২৫ অর্থবছরে ১১৮ ৮০ শতাংশ। একই অর্থবছরে ৯ জানুয়ারি জারীকৃত ১৩৬ নং এসআরও এর আলোকে ১৩৬. ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow