সৈয়দপুরে ছয় শতাধিক শীতার্তকে শীতবস্ত্র উপহার দিল কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স
সৈয়দপুর জেলা প্রতিনিধি : "পৌষের জাড়োত হামরা মরি যাইসি, কাহো হামার প্যাখে দেখে না (পৌষের শীতে আমরা মরে যাচ্ছি, কেউ আমাদের দিকে দেখে না)। আইজ (আজ) বীমা কোম্পানির কন্বল প্যায়া হামার মনটা ভরি গেইসে। যারা হামাক কম্বল দিছে, আল্লাহ ওমারগুলাক (তাদেরকে) যুগ যুগ বাঁচি রাখুক"-কথাগুলো বলছিলেন সৈয়দপর উপজেলার বাঙালিপুরের ষাটোর্ধ বৃদ্ধা জরিনা বেওয়া। নীলফামারীর সৈয়দপুরে কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স পিএলসির পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তাঁর মতো অনেককেই এমন মন্তব্য করতে দেখা গেছে। শনিবার (১১জানুয়ারি) দুপুরে শহরের আদর্শ বালিক বিদ্যালয় কলেজ মাঠে ছয় শতাধিক শীতার্ত নারী ও পুরুষের মাঝে ওই কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স কোম্পানী পিএলসি সৈয়দপুর শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্রাঞ্চ ইনচার্জ আলহাজ্ব রশিদুল হক সরকার শীতার্তদের হাতে কম্বল তুলে দেন। বিতরণকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্য বলেন, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.আমিরুজ্জামান, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু, কর্ণফুলি ইন্সুরেন্স পিএলসি সৈয়দপুর শাখার ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট এসরার আহমেদ সাজু, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রেহান, আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ মাকছুদুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এক্সকিউটিভ অফিসার নওশাদ আনসারী। প্রধান অতিথি বলেন, "উত্তরবঙ্গে প্রতিবছরই শীতার্তদের কাবু করে শীতের তীব্রতা। এবারও একই অবস্থা হয়েছে। তাই শীতার্ত মানুষের শরীরে শীতবস্ত্র জড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেছে কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স পিএলসি। শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে প্রকাশ পায় মানুষের প্রতি আমাদের মমত্ব ও ভালোবাসার"। তিনি বলেন, "কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স বরাবরই আর্তমানবতার পাশে ছিল আছে এবং থাকবে।" অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী ইন্সুরেন্সের সিনিয়র অফিসার শহিদুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, সামিউল, রাজাসহ অন্যান্যরা।
What's Your Reaction?