শ্যামনগরে কালিঞ্চি সরকারি দীঘি থেকে লক্ষাধিক টাকার মাছ লুটপাট!
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৪ বিঘা আয়তনের কালিঞ্চি সরকারি দীঘি থেকে লক্ষাধিক টাকা মুল্যের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে।
১ফেব্রুয়ারী(শনিবার) সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার কালিঞ্চি গ্রামের প্রশান্ত, সোহরাব আলী, শাহিনুর ও সুকুমার নামের ৪ ব্যক্তি জাল টেনে মাছ লুটে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লুটকৃত মাছের মধ্যে প্রায় ২২ কেজি ওজনের ভেটকিসহ রুই, মৃগেল, পাঙাশ ও কাতল মাছ রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। বাঁধা দেয়া হলেও এসব মাছ পাঁচ বছর আগে উক্ত দীঘি লিজ নেয়ার সুযোগে তারা সেখানে ছাড়ার দাবি করেন বলেও জানান স্থানীয়রা। কালিঞ্চি গ্রামের আব্দুল হামিদ লাল্টু জানান শনিবার খুব ভোর থেকে ১০/১২ জন জেলেকে নিয়ে কালিঞ্চি সরকারি দীঘিতে জাল টানতে শুরু করে প্রশান্ত, সোহরাব আলী, সুকুমার ও শাহিন। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা সোহরাব আলীর নির্দেশে মাছ ধরার কথা জানান। সকাল থেকে দীঘি থেকে ধরা প্রায় সাত বস্তা মাছ তারা স্থানীয় সোনারমোড় মৎস্য আড়তে বিক্রি করে বলেও জানান তিনি। একই এলাকার ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আজগর আলী বুলু জানান, বহিরাগত জেলেদের নিয়ে সকাল থেকে মাছ লুট করা হয়। তিনটি মটর সাইকেলযোগে ছয়টিরও বেশী বস্তায় করে এসব মাছ সোনারমোড় আড়তে নিয়ে গেছে তারা। কয়েকটি ভেটকটি মাছ ২০ কেজিরও উপরে বলেও তিনি দাবি করেন। আশপাশের ছয় গ্রামের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ উক্ত দীঘির পানি পান করে- জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এভাবে জাল টেনে মাছ শিকারের ফলে স্থানীয়রা উক্ত দীঘি থেকে খাবার উপযোগী পানি নিতে পারছে না।
মাছ লুটের বিষয়ে জানতে চাইলে সুকুমার মন্ডল বলেন, সোহরাব আলীর নির্দেশে তারা মাছ ধরেছেন। প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি এসব মাছ ছেড়েচিলেন বলেও জানায় সুকুমার। অভিযোগের বিষয়ে সোহরাব আলী জানান, অসুস্থতার কারনে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তবে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের দীঘির মাছ লুটপাট এলাকায় ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মোঃ খলিল হোসেন জানান, এভাবে মাছ ধরার কথা না। কাউকে ইজারা দেয়ার প্রশ্ন উঠে না। এখনই তত্ত্বাবধায়ককে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
What's Your Reaction?