বাগেরহাট লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কর্মযজ্ঞে মুগ্ধ সমাজ কল্যাণ সচিব
এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের কর্মযজ্ঞ পরিদর্শনে এসে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন। সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বেশরগাতী গ্রামে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ফাউন্ডেশনটির আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে তিনি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এতিম ও বৃদ্ধনিবাসের আধুনিক সুযোগ সুবিধা দেখে ভুয়সী প্রশংসা করেন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের পাশাপাশি এদিন ফাউন্ডেশনটির কর্মকাণ্ড দেখতে আসেন ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করা একঝাঁক কৃষিবিদ। তাদের অনেকে কর্মজীবনে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। কেউ কেউ এখনো করছেন। বাগেরহাটের প্রয়াত গুণিজন শিক্ষক লতিফর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বর্তমানে সচিব পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ড.মোঃ ফরিদুল ইসলাম বাবলুর এই কৃষিবিদ বন্ধুরা সকালে সংগঠনটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন। নিজ এলাকায় বন্ধুদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাগেরহাটের এই কৃতি সন্তান। এদিন বিকালে সহধর্মিণীকে নিয়ে বেশরগাতী গ্রামে প্রবেশ করেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.মোঃ মহিউদ্দিন। তাদের সঙ্গে ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মোঃ সাইদুর রহমান খান। লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনে ফুলেল শুভেচছা বিনিময় শেষে তারা ফাউন্ডেশনে চলমান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের চিকিৎসাসেবা, ফাউন্ডেশনে নির্মানাধীন মসজিদ, স্বপ্ন নীড় এতিম ও বৃদ্ধা নিবাস, রকেট স্পোর্টিং ক্লাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে ঘুরে দেখেন। নিভৃত একটি গ্রামে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্বপ্ন নীড় এতিম ও বৃদ্ধ নিবাস দেখে মুগ্ধ হন সবাই। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিন বলেন, এই সংগঠনের যে সাকসেস সেটি সত্যি প্রশংসনীয়। এতিম ও বৃদ্ধ নিবাসের কথা 'বিশেষভাবে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, খাবার-দাবারের যে পরিবেশ, তা ঢাকার অনেক প্রতিষ্ঠানেও আমি দেখিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশিষ্টজনদের আসার খবরে বেশরগাতী গ্রামে জড়ো হন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লুতফর রহমান, জেলা সমাজ সেবা উপ-পরিচালক এস. এম. রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাঃ হাবিবুর রহমান, জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব প্রথিতযশা আইনজীবী শেখ মোশারফ হোসেন মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জীব দাশ, ডাঃ প্রদীপ কুমার বকসী, ডাঃ জিনিয়া ফেরদৌস, ডাঃ শেখ রিয়াদুজ জামান, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সটেক্টর রহিমা আক্তার, ডাঃইনামুল কবির, ডাঃ ইমতিয়াজ নাঈম, লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পিসি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক নির্বাচিত ভিপি সদ্দার নাসির উদ্দিন লনি, প্রতিষ্ঠানের সহযোদ্ধা বেগ শামিম হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, জেলা জজ আদালতের এপিপি এডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন, স্বপ্ন নীড় এতিম ও বৃদ্ধা নিবাসের সভাপতি সাবেক সেনা কর্মকর্তা শেখ সাজ্জাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম হাসান, বায়তুল লতিফ জামে মসজিদের সভাপতি শেখ শওকত আলী শহর, সাধারণ সম্পাদক সাবেক বিজিপি সার্জেন্ট কবির হোসেন মিন্টু, সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, শিক্ষক শেখ শাহাজান আলী, গণপূর্ত কর্মকর্তা আল-মামুন, লতিফ মাস্টার ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক দলের টিম লিডার বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান আমানুর মেম্বর, সিনিয়র শিক্ষক মিফতা উদ্দিন, দন্ত চিকিৎসক পারভেজ, বোরহান, সালমান, মাহফুজ সাদিক,বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুমন হাওলাদার প্রমুখ। প্রয়াত গুণিজন শিক্ষক লতিফর রহমানের আরেক পুত্র সিপিএ রফিকুল ইসলাম জগলু ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমেরিকা বসে পিতৃভূমির এই কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
What's Your Reaction?